এইখানে উচ্ছল, সৃষ্টিশীল
বৃষ্টি
ঝরে
না
বরং নির্জীব
শহুরে
পরিব্রাজন
হয়ে
ওঠে
হতাশ
জীবনের
ক্লান্ত
ব্যাবচ্ছেদ,
কৃএিম টিপ
টিপ
বারিধারা
মনে
করিয়ে
দেয়,
পাবলিক বাসের
বুড়ো
চালক
আরও
বুড়ো
হয়েছেন
এই
দুই
বছরে।
পার্কের কনসার্ট
থেকে
ভেসে
আসা
গানের
তালে
নাচতে থাকা
বয়স্ক
রমণীটির ফুটবল-প্রীতি
ইঙ্গিতবহ বিগত
যৌবনের
কামন্মাদ
উচ্ছাসের,
জ্বলন্ত পুরুষালী
লীলাখেলার
লাস্যময়ী
প্রহরী
হয়েছিল কোন
একদিন
সে।
তবুও কোথায়
যেন
একটা
শূন্যতা
নগর জীবনের
বৈচিত্র্যহীন
নির্লিপ্ততা
জয়েসের উপন্যাসে
যা
হয়ে
ওঠে
অস্তিত্ববাদী
সংগ্রামের
প্রতীক।
অথবা বোদলেয়ারের
কবিতায়
মোহনীয়
অথচ
কদর্য
বেশ্যালয়
তবে নাগরিক
অসারতার
চিত্রকল্প হয়ে ওঠে না
কোন বাংলাভাষী
কবির
বয়ানে
তিন রমণীর
কাস্বিদা
কিংবা
সৃষ্টিসুখের
উল্লাস
অথবা
রবি
ঠাকুরের
গীতিবিতান,
শহুরে সভ্যতার
বিন্যাসকে
গ্রাম্য
মেঠোপথের
সোঁদা
গন্ধ
উগড়ে
দেয়।
সপ্তাহান্তের আমোদে
জারিত
দেহগুলো
তবু
কেন
গানের মাঝে
অনাগত
দিনের
আগমনী
বার্তা
শুনতে
পায়,
পরাজয়ের নিয়তি
আর
স্বাচ্ছন্দ্যের
উল্লাসকে
এক
গ্লাসে
ধারণ
করে
পান করতে
শিখে
যায়,
অনেকটা
আমাদের
খেঁটে
খাওয়া
মানুষগুলোর
মতো,
তামাকের
ঘ্রাণ
যাদের
জন্য
ক্ষুধা
ভুলে
থাকার
অনুষঙ্গ,
স্মৃতির
শহরে
তাই
বেঁচে
থাকে
জীবনকে
হাতড়ে
বেড়াবার
উপজীব্য।
১০/০৪/২০১৪